রাজধানীর উত্তরা এলাকায় হরতালের কোনো প্রভাব নেই। স্বাভাবিক নিয়মে যান চলাচল করছে। সকালের দিকেেএকটু কম দেখা গেলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে সব ধরনের পরিবহনের চাপ। বিমানবন্দর রেলস্টেশন দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলও স্বাভাবিক দেখা গেছে। হরতাল নিয়ে দুশ্চিন্তা নয় বরং যাত্রী ও পথচারীদের মধ্যে কর্মস্থলে দ্রুত পৌঁছার তাগিদ দেখা গেছে।
রোববার (২৮ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর উত্তরা এলাকা, হাউজবিল্ডিং, আজমপুর, রাজলক্ষ্মী, বিমানবন্দর ও ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনসহ আশপাশের এলাকায় এ চিত্র দেখা গেছে। হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালের কোনো প্রভাব এসব এলাকায় চোখে পড়েনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ৯টার পর থেকে এসব এলাকায় সব ধরনের পরিবহনের চাপ বাড়তে থাকে। ব্যক্তিগত ও গণপরিবহন স্বাভাবিক নিয়মে চলাচল করছে। যাত্রী ও পথচারীদের মাঝে হরতাল নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা বা আতঙ্ক দেখা যায়নি। তুরাগ পরিবহনে হাউজ বিল্ডিং থেকে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যাত্রী জানান, ‘হরতাল বলে কোনো শব্দ নেই।’
কয়েকজন যাত্রী জানান, সাধারণত হরতাল হলে রাস্তায় চলাচল করে একটু আরাম পাওয়া যায়, যানজট কম থাকে। কিন্তু আজ বোধ হয় যানজট থাকবে, গাড়ির চাপ অনেক বেশি! এদিকে ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। প্রচুর যাত্রী ট্রেনের অপেক্ষায় রয়েছেন। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল স্বাভাবিক নিয়মেই চলছে ট্রেন। তবে চট্টগ্রামগামী ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আটকা পড়েছে বলে জানা গেছে।
রেল স্টেশনের পুলিশ তথ্য কেন্দ্রে দায়িত্বরত রাশেদ নববার্তাকে জানান, ভোর থেকে স্বাভাবিক নিয়মে ট্রেন চলাচল করছে। হরতালের কোনো প্রভাব নেই। যাত্রী ও ট্রেনের উপস্থিতি সকাল থেকেই অনেক বেশি রয়েছে বলে জানান তিনি।
বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মরণ চন্দ্র দাস নববার্তাকে বলেন, রাতে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। কোথাও কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি। ঢাকা থেকেও ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু ১০ মিনিট আগে শুনলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া দিয়ে ট্রেন যেতে দিচ্ছে না। ভৈরবে ট্রেন আটকা পড়েছে। তবে উত্তরবঙ্গগামী ট্রেন স্বাভাবিক নিয়মে চলছে।