কাজী আব্দুল্লাহ্ আল সুমন, শ্রীপুর গাজীপুরঃ ‘যদি সুন্দর একখান মুখ পাইতাম, মহেশখালির পানের খিলি তারে বানাই খাবাইতাম’ অথবা
‘পান খেয়ে ঠোঁট লাল করিলাম/ বন্ধুভাগ্য হইলো না।’ পান দিয়ে সাধারণত অতিথি আপ্যায়নে কিংবা কোন বৈঠকে আলোচনা শুরু করার উপলক্ষ হিসেবে পানের ব্যবহার দেখা যায়।
পান বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বয়স পঞ্চাশ ছুই ছুই। জীবনযুদ্ধে হার না মানা একজন মানুষ তিনি। ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলায় জন্মস্থান। প্রায় ৩০ বছর যাবত থাকেন গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার লোহাগাছ গ্রামে (অন্যের বাড়ীতে)। ১ স্ত্রী ৩ ছেলে ৩ মেয়ে নিয়ে সংসার। ২ মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছ। ৩ ছেলে ময়ে লেখা পড়া করছে। পান বিক্রী করেই চলে তার সংসার।
তিনি বলেন “টাকার জন্য পান কিনতে পারি না। পান কিনতে না পারলে বিক্রী করবো কি ভাবে? ক্রেতারা পানের জন্য আসলে পান দিতে পারি না। টাকা হলে পান কিনতে পারি। পান বিক্রীও তেমন হয় না। বড় বড় পানের দোকান থেকে সবাই পান কিনে।
তিনি আরও বলেন, পান থাকলে ‘সারাদিনে ৩০ থেকে ৪০ ছলি (স্থানিয় ভাষায় ৪০ পানে এ ছলি বলে) পান বিক্রী করতে পারি। বয়স না হওয়ায় বয়স্ক ভাতা ও পাচ্ছি না। নিজের কোন বাড়ী ঘর ও নাই থাকি অন্যের বাড়ীতে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন পান বিক্রী করে কোন রকমে স্ত্রী ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার চলাচ্ছি।