আধুনিক, দেশাত্মবোধক ও চলচ্চিত্রের গানে অসাধারণ অবদান রয়েছে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের। একাধারে গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক ছিলেন এ মুক্তিযোদ্ধা। আজ তার চলে যাওয়ার দুই বছর।
২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি রাজধানীর আফতাব নগরে নিজ বাসায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বুলবুল। শুক্রবার প্রয়াণ দিবসে ভক্ত-অনুরাগীরা তাকে স্মরণ করছেন। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের গানের সংখ্যা কয়েক হাজার। এর মধ্যে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি।
দেশাত্মবোধক গানে বুলবুল নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। তার ঝুলিতে আছে— সব কটা জানালা খুলে দাও না, ও মাঝি নাও ছাইড়া দে ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে, সেই রেললাইনের ধারে মেঠো পথটার পারে দাঁড়িয়ে, মাগো আর তোমাকে ঘুম পাড়ানি মাসি হতে দেব না -র মতো গান।
চলচ্চিত্রে তাকে পাওয়া গেছে— আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি, আমার বুকের মধ্যখানে, আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন, আমি তোমারই প্রেমও ভিখারি, ও আমার মন কান্দে, আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে, তোমায় দেখলে মনে হয়, ওই চাঁদ মুখে যেন লাগে না গ্রহণ, বাজারে যাচাই করে দেখিনি তো দাম, আম্মাজান আম্মাজান, তুমি আমার এমনই একজন, নদী চায় চলতে, এই বুকে বইছে যমুনা, পড়ে না চোখের পলক, প্রাণের চেয়ে প্রিয়, অনন্ত প্রেম প্রভৃতি গানে।
১৯৫৬ সালে ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। ১৯৭৮ সালে ‘মেঘ বিজলি বাদল’ সিনেমায় সংগীত পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। তার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, সৈয়দ আব্দুল হাদি, অ্যান্ড্রু কিশোর, সামিনা চৌধুরী, খালিদ হাসান মিলু, আগুন, কনক চাঁপা, আইয়ুব বাচ্চুসহ দেশের গুণী সব শিল্পীরা।
১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। সংগীতে অবদানের জন্য পান রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও রাষ্ট্রপতি পুরস্কারসহ অসংখ্য স্বীকৃতি।