পরবর্তী কয়েকমাসের জন্য অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা রপ্তানিতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে ভারত।
এমন খবরে সেরামের কাছ থেকে ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সিরামের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে তা ব্যহত হবে না, ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।আমরা যোগাযোগ রাখছি। যে চুক্তি হয়েছে তা একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, তা মানার একটা বাধ্যবাধকতা আছে। এদিকে ভারতের এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে বৈঠক হয়েছে।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য সচিব জানান, ভারতীয় দূতাবাস থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়েছে যে, ভারত সরকার ভ্যাকসিন নিষিদ্ধ করেছে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে সরকারি পর্যায়ে। এখানে কোনো বাধা নেই। এ জন্য চুক্তি অনুযায়ী অর্ধেক অর্থ (১২০ মিলিয়ন ডলার) আজই (সোমবার) পরিশোধ হয়ে যাবে। মন্ত্রী ইতিমধ্যে অনুমোদন দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনাভাইরাসের টিকাটির ভারতের উৎপাদনের দায়িত্ব পেয়েছে সেরাম ইন্সটিটিউট। তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশের বেসরকারি ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস টিকাটি আমদানি করে সরবরাহ করবে। সেরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে, তাতে বাংলাদেশ সরকারের জন্য আমদানি করা টিকার প্রতি ডোজের দাম পড়বে পাঁচ ডলার বা ৪২৫ টাকার মতো। সেটা সরকারিভাবে বিতরণ করা হবে।