আজ সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রোববার বিভিন্ন মামলার ১৪২ জন কয়েদি ছাড়া পেয়েছন। এদের মধ্যে ৩৬ জনেকে মামলা থেকে একেবারে অব্যাহতি ও ১০৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জামিন প্রদান করা হয়। রোববার দিনে সিলেটের বিভিন্ন আদালতের আদেশের পর সন্ধ্যায় তারা কারাগার থেকে ছাড়া পান।
বাংলাদেশে একইদিনে কোন কারাগার থেকে এতো বিপুল সংখ্যক কয়েদির ছাড়া পাওয়ার ঘটনা এই প্রথম বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগ অনুসারে, যারা লঘু অপরাধ করে কারাগারে আছেন, তারা যদি দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান ও ভালো পথে চলার অঙ্গিকার করেন, তবে মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদেরকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্তি দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সম্প্রতি সিলেট কারাগার পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রসচিব (সুরক্ষা ও সেবা) ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক। তাঁর পরিদর্শনের পর লঘু অপরাধে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে থাকা কয়েদিদের তালিকা করা হয়।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা যায়, লঘু অপরাধে অভিযুক্ত বিভিন্ন মামলার ১৪২ জন আসামিকে রোববার সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত, সিলেট জেলা দায়রা জজ আদালতসহ বিভিন্ন আদালতে হাজির করা হয়। এসব আসামি মেট্রো আইন, চুরি, ছিনতাই, পতিতাবৃত্তি প্রভৃতি অপরাধে কারাগারে ছিলেন। আদালতে এসব আসামি নিজেদের দোষ স্বীকার করেন। তারা ভবিষ্যতে সঠিক পথে চলার অঙ্গিকার করেন। আদালত মানবিক দিক বিবেচনা করে ৩৬ জনকে অব্যাহতি ও ১০৬ জনকে জামিন প্রদান করেন।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল বলেন, এই ১৪২ আসামি আদালতে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান। আদালত তাদের কয়েকজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি ও বাকীদের জামিন প্রদান করেন। দেশে এই প্রথম কোন কারাগারের এতোজন আসামি একসাথে ছাড়া পেলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মানবিক দিক বিবেচনা করে লঘু অপরাধের সাথে জড়িতদের জামিন প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। লঘু অপরাধে কারাগারে থাকা হাজতিরা ব্যক্তি জীবনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয়, তার পরিবার ভোগান্তি পোহায়। এজন্য প্রধানমন্ত্রী আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এসব ব্যক্তিদের জামিনের পক্ষে। তাঁর সে উদ্যোগেরই বাস্তবায়ন ঘটলো সিলেটে। আগামীতেও এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।