নিজস্ব সংবাদদাতা, বড়টিয়া : মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের হিজুলিয়া গ্রামের ব্রীজ ভেঙে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন তিনটি গ্রামের তিন সহস্রাধিক মানুষ। আজ সোমবার হিজুলিয়া গ্রামে ইছামতি খালের উপরে ব্রীজটি ভেঙে পড়ে।
দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন আর অবহেলায় এভাবে পড়ে ছিল ইছামতি নদীর উপর এই জরাজীর্ণ ব্রীজটি। একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হওয়া সত্তেও নিরুপায় গ্রামবাসী এই ব্রীজ ব্যবহারে বাধ্য ছিল। কখনো কখনো ঘটছে ছোট খাটো দুর্ঘটনাও। কিন্তু এ যেন দেখার কেউ নেই। হিজুলীয়া গ্রাম সহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচল এই ব্রীজ দিয়ে। প্রতিদিন কয়েক হাজার লোকজন এ ব্রীজটি দিয়ে পারাপার হয়ে থাকে। ব্রীজটির দুপাশে রেলিং ভেঙ্গে গেছে অনেক আগেই। ব্রীজটি বহু পুরানো হওয়ায় ইট, সুরকি, খোয়া প্রতিনিয়ত খুলে খুলে পড়ে যাচ্ছিলল প্রতিনিয়তই।
কিছুদিন আগে ব্রীজটির মাঝখানে ফাটল ধরে। প্রশাসনের নিকট আবেদন করেও, এই ব্রীজটি পুনরায় নির্মাণে কোনো উদ্দ্যোগ ছিলো না বলাই যায়। বিকল্প সেতু হিসবে গ্রামবাসী তৈরি করেছে বাঁশের সেতু, যা শুধু মানুষ চলাচলে সক্ষম, ভারী মালামাল বহন করা সম্ভব নয়, এমতাবস্থায় বিপাকে পড়েছে তিন সহস্রাধিক মানুষ।
গ্রামবাসী জানায়, ব্রীজটি ভেঙে পড়ায় স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থী এবং কৃষকরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চাষীরা তাদের ফসল বিক্রি করতে সদরে যেতো। স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীর পাশাপাশি সহস্রাধিক মানুষ এই ব্রীজ ব্যবহার করতো। ব্রীজটি ভেঙে খালে পড়ে গেলে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানান গ্রামবাসী।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অনলাইন নববার্তা-কে জানাতে ই-মেইল করুন- nobobarta@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
সবজি বিক্রেতা বলেন, এই ব্রীজ পার হয়ে আমরা সবজি বিক্রি করতে উপজেলা সদরে যেতাম। বাঁশের সেতু দিয়ে সবজি নিয়ে খাল পার হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা শিগগির ব্রীজটির মেরামতের দাবি জানাই।