আমিনুল ইসলাম রুদ্র : আজ ৫ই মার্চ, বাঙালি লেখক ও শিক্ষাবিদ অমূল্যকুমার দাশগুপ্তের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। অমূল্যকুমার দাশগুপ্ত ১৯১১ সালের ১৫ অক্টোবর বরিশাল জেলার নান্দিকাঠি থানার কুলকাঠি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
যদিও হাল আমলের পাঠকের কাছে অমূল্যকুমার দাশগুপ্ত খুব একটা পরিচিত নাম নয়। বাজার চলতি সাহিত্যের ইতিহাসের বইপত্রেও তাঁর প্রবেশাধিকার নেই বললেই চলে। তবে ‘সম্বুদ্ধ’ নামে তাকে অনেকেই চেনে। এ নামেই লেখালেখি করতেন তিনি। বাংলা সাহিত্যে হাস্যরসের ধারা জাতীয় গ্রন্থে সম্বুদ্ধ ও তাঁর রচনা সম্বন্ধে কিছু বাক্য ব্যয় করা হয়েছে। তিনি মূলত শিশুদের জন্যই লিখতেন। তার জীবিতকালে এবং মৃত্যুর বেশকিছু বছর পরও অনেক শিশুর কাছে ছিলেন প্রিয় লেখক। শিকার কাহিনী লেখায় পারদর্শী এই লেখক ১৯৭৩ সালের আজকের দিনে মৃত্যুৃবরণ করেন। আজ তাঁর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী।
এই জ্ঞানী মানুষটি পড়াশোনা করেছেন বরিশাল ও কলকাতায়। অমূল্যকুমার দাশগুপ্ত আনন্দবাজার পত্রিকা এবং শনিবারের চিঠির সহ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। কর্ম জীবনে কিছুদিন সাংবাদিকতা করলেও শিক্ষকতার পেশাতেই কেটেছে তার জীবনের বেশির ভাগ সময়। তিনি বিভিন্ন মেয়াদে বরিশাল বি.এম. কলেজ, দৌলতপুর বি.এল. কলেজ, ফরিদপুর রামাদিয়া কলেজ, পাবনা এডোয়ার্ড কলেজ ও কাঁথি পি.কে. কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপনা করেন। তিনি অনুশীলন দলের একজন সক্রিয় সদস্য হিসাবে ব্রিটিশবিরোধী সহিংস আন্দোলনে যোগদান করেন এবং কারাবরণ করেন।
তার প্রকাশিত গ্রন্থসমূহঃ ১। ডায়লেকটিক (১৯৩৯) ২। শিকার কাহিনী (১৯৪৬), ৩। বাঘ-সাপ-ভূত, ৪। ছেলে-ধরা জয়ন্ত (গোয়েন্দা কাহিনী-১৯৬৬)। ১৯৩৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতায় বসে লেখা এবং সে সময়ে রামধনু নামে একটি পত্রিকায় ছাপা হওয়া তার বিরূপকথা শিরোনামের গল্পটি তার বানানরীতি অবিকল রেখেই সংযোজিত হলো। আশা করি, এটি পড়ার পর তার অন্যান্য লেখার প্রতি পাঠকের আগ্রহ বাড়বে।
শিক্ষাবিদ অমূল্যকুমার দাশগুপ্ত ১৯৭৩ সালের ৫ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের কাঁথিতে মৃত্যুবরণ করেন। আজ তার ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। না-ফেরার দেশে চলে যাওয়া লেখক অমূল্যকুমার দাশগুপ্তের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অনলাইন নববার্তা-কে জানাতে ই-মেইল করুন- nobobarta@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।