ফাল্গুন আকাশে বিস্তৃত অন্ধকারের বুক চিরে
ছড়িয়ে যায় বোরো আর ভুট্টাক্ষেতের ওপর
যমুনার স্বচ্ছ জ্বলের স্রোতে
ছল ছল শব্দ তুলে ভেসে যায়
আমার গভীর তন্দ্রা পুনর্বার ভেঙে দেয়
ডেকে নেয়, টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় স্রোতে
পূণ্যভূমির মাঝে আমার তন্দ্রাচ্ছন্ন পান্ডুর স্বপ্নগুলো
ভেঙে গেলো পুনর্বার।
সেই শব্দে-
মনে পড়ে কোনো এক বিলুপ্ত অরণ্যের কথা
সেই অরণ্যের মায়াবী গাছগুলো রুগ্নরুপে জাগে হৃদয়ে
জোনাকির রূপালি আলো আগুন হয়ে ঝরে
ব্যর্থ পঙ্গু ঘড়িটা জেগে উঠেছে বোধহয় আবার
জেগে উঠেছে কি আবার-
মৃত্যুর প্রদাহ প্রবহমান যন্ত্রণা?
হে কালশিল্পী ক্লান্তিহীন উৎকর্ষা
পবিত্র এই অন্ধকার গাঢ় নীল হয়ে গেলো
মৃত নগরীর অন্তঃশূন্যে নিয়ে
বারবার আমারে অন্ধকূপে ফেললো
আমি ধৃতপঞ্চইন্দ্রীয়ের সাক্ষাতে
জীর্ণশীর্ণ প্রিয় মৃতদের মুখও দেখেছি সেই অন্ধকুপে
যারা কোটি কোটি বছর আগে মরে গেছে
তারা কি হোমার? অন্ধ কবি ছিলো?
তাদের পায়ের সমান পৃথিবী কোথাও খুঁজে পাইনি
অভিমানে তাই মৃত আকাশকে পেছনে ফেলে দাঁড়িয়ে আছি
আমার বুকের পাশে তাদের দুঃখও আছে!
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অনলাইন নববার্তা-কে জানাতে ই-মেইল করুন- nobobarta@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
তাই পুনর্বার যদি বোরো আর ভুট্টাক্ষেতে আলো আসে
কাশ্মীরি শালের দুর্বাঘাসে শুয়ে অন্ধকার চিরে
একফালি চাঁদের আলো আমার চোখে যদি লাগে
তন্দ্রা আমাকে গভীর নিদ্রা যদি না দেয়;
ছল ছল সেই শব্দে পুনর্বার চমকিত হই
আমি ভরা বসন্তে মদপান করবো
মাঠে ছড়াবো আরও একগুচ্ছ উর্বর বিরহ
অতৃপ্ত নেশার ঘোরে তৃপ্তশ্বাস নিয়ে
দুঃখের জমি আবাদ করবো
আমি হৃষ্ট কবি-
মৃত্যু আমাকে নেবে না জানি
তাই আহত হলে পুনর্বার
অস্তিত্বের অনভিপ্রেত আড়ম্বরে নিজেকে ভুলে যাবো
রক্তের স্রোত গড়িয়ে গড়িয়ে পড়বে, শুনবো।
সবুজ খান
সাব-এডিটর, বাংলাদেশ জার্নাল