রবিবার, ৩ মাঘ, ১৪২৭, ১৭ জানুয়ারি, ২০২১, সকাল ১০:০৯ মি:
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্রিকেটে যুক্ত হয়েছে নতুন প্রযুক্তি। আগে একসময় মনে করা হতো ক্রিকেটে ভুল করাটা স্বাভাবিক। কিন্তু প্রযুক্তির দিনে যদি থার্ড আম্পায়ার ভুল করে বসেন সেটা নেহাৎ অস্বাভাবিক। আর সে ভুলের কারণে যদি হেরে বসে একটি পক্ষ তবে তো মেনে নেয়াটাই কঠিন।
কলম্বোতে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের ম্যাচটির প্রতক্ষদর্শী ক্রিকেট দুনিয়া। কিভাবে ভারতীয় আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে হারলো জিম্বাবুয়ে সেটা দেখে অবাকই হয়েছে অনেকে। চারদিনেরও বেশি সময় আধিপত্য ধরে রাখা জিম্বাবুয়ে শেষ পর্যন্ত হেরে যায় চার উইকেটে। দলীয় ২০৩ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পরও রেকর্ড ৩৮৮ রান তাড়া করে দলকে জয় এনে দেন নিরোসান ডিকভেলা ও আসেলা গুনারত্নে। তবু এ দুজনকে ছাপিয়ে আলোচনায় তৃতীয় আম্পায়ার চেত্তিহোদি শামসুদ্দীন। ভারতীয় এই আম্পায়ারের দেয়া ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই ব্যক্তিগত ৩৭ রানে আউট হওয়ার পরও বেঁচে গিয়েছিলেন ডিকভেলা।
৩৭ রানে ব্যাট করার সময় সিকান্দার রাজার বলে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন ডিকভেলা। রিপ্লেতে দেখা যায়, দাগের ওপরে ছিল ডিকভেলার পা। দাগের ভেতরে আনতে পারেননি। স্টাম্পিংয়ে ‘অন দ্য লাইন’ মানে পরিষ্কার আউট। জীবন পেয়ে শেষ পর্যন্ত ৮১ রান করে শ্রীলঙ্কাকে রেকর্ড গড়া জয় এনে দেন ডিকভেলা। ম্যাচ শেষে তাই ভারতীয় এই আম্পায়ারের কাণ্ডের সমালোচনায় করছে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব।
টেস্ট হেরে হতাশ জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার বলেছেন, নট আউট দেয়ার কারণই খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও সমালোচনা করছেন শামসুদ্দীনের এমন সিদ্ধান্তের। কেউ কেউ বলছেন ভারতীয় আম্পায়াররাই যত নষ্টের গোঁড়া। এমনকি একজনতো প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কেন ভারতীয় আম্পায়াররা আন্তর্জাতিক ম্যাচের দায়িত্ব পান?’
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অনলাইন নববার্তা-কে জানাতে ই-মেইল করুন- nobobarta@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
এছাড়া ক্রীড়া বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর সাংবাদিক শশাঙ্ক কিশোর এমন কাণ্ডকে রীতিমতো অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘প্রযুক্তির যুগে এমন বাজে সিদ্ধান্ত দেয়া অপরাধের খাতায় পড়ে। ডিকভেলার পেছনের পা ক্রিজের ভেতর ছিল না। বাজে আম্পায়ারিং।’
তবে শামসুদ্দীনের এমন ভুল সিদ্ধান্ত কিন্তু এবারই প্রথম নয়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দুটি ‘বাজে’ সিদ্ধান্ত দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন শামসুদ্দীন। সেই ম্যাচে বিরাট কোহলিকে এলবিডব্লিউ দেননি, অথচ রিপ্লে দেখে বোঝা যাচ্ছিল পরিষ্কার আউট ছিলেন তিনি। এছাড়া জো রুটকে হাস্যকর একটি এলবিডব্লিউ দেন তিনি। পরবর্তীতে রিপ্লেতে দেখা যায়, বল পরিষ্কার ব্যাটে লেগেছিল রুটের।