নাক, নাসিকারন্ধ্র, মুখ গহ্বর এবং শ্বাস ও খাদ্যনালীর মিলনস্থলে অবস্থান করা করোনাভাইরাস ধ্বংস করতে সক্ষম ‘ন্যাজাল স্প্রে’ উদ্ভাবনের দাবি করেছে বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস (বিআরআইসিএম)। যার নাম রাখা হয়েছে ‘বঙ্গোসেফ ওরো ন্যাজাল স্প্রে’।
সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটির দাবি পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম এ ধরনের স্প্রে উদ্ভাবন করেছে। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে প্রথমবারের মতো বিষয়টি সামনে আনলো বিআরআইসিএম।
বৈঠকে বিআরআইসিএম জানিয়েছে, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২০০ জন কোভিড-১৯ রোগীর মধ্যে এই স্প্রের ট্রায়াল করেছেন তারা। এতে কোভিড-১৯ রোগীর ভাইরাল লোড কমার প্রমাণ পাওয়া গেছে। কমিটির সদস্য হাবিবে মিল্লাত বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কমিটি এই স্প্রেটি আরও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য বলেছে। এছাড়া বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল এবং সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে অনুমোদন নিতে বলা হয়েছে।
বিআরআইসিএম-এর প্রতিনিধি বৈঠকে জানান, তারা যে সলুশন তৈরি করেছেন তা ৩/৪ ঘণ্টা পর স্প্রে করা হলে নাক, নাসিকারন্ধ্র, মুখ গহ্বর এবং শ্বাস ও খাদ্যনালীর মিলনস্থলে অবস্থান করা করোনাভাইরাস ধ্বংস হবে। এতে কেউ যদি সংক্রমিত ব্যক্তির কাছাকাছি যায় এবং সংক্রমণ ঘটে তবে এই স্প্রে ভাইরাস ধ্বংস করবে।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অনলাইন নববার্তা-কে জানাতে ই-মেইল করুন- nobobarta@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
বৈঠকে রাজশাহীতে নির্মিতব্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার প্রকল্পে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণে তদারকি জোরদার করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা জাহাজ ক্রয়, জনবল নিয়োগ এবং আবাসন সুবিধা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি আ ফ ম রুহুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য ইকবালুর রহিম, হাবিবে মিল্লাত, শফিকুল আজম খাঁন, নিজাম উদ্দিন হাজারী, মোজাফফর হোসেন, শিরীন আহমেদ এবং সেলিমা আহমাদ অংশ নেন।
–সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন