ডিসেম্বর মাসে সার্বিক মুল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ, যা নভেম্বর মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। সেইসঙ্গে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২১ শতাংশ, যা নভেম্বর মাসে ছিল ৫ দশমিক ১৯ শতাংশ। এছাড়া গ্রাম এবং শহরেও মূল্যষ্ফীতি কমেছে। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমায় সার্বিক মূল্যস্ফীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) ও মূল্যস্ফীতির হার শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রতিবদনটি তুলে ধরা হয়। রাজধানীর শেরবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গণভবন থেকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মূল্যস্ফীতির তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম,এ,মান্নান। এ সময় বিবিএস’র মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম কম থাকায় ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। আশা করছি আগামী মাসগুলোতে আরও কমে আসবে।’
বিবিএসএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহরে কমেছে সার্বিক মূল্যস্ফীতি। এই হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩১ শতাংশে, যা নভেম্বর মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ১১ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশে, যা নভেম্বর মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অনলাইন নববার্তা-কে জানাতে ই-মেইল করুন- nobobarta@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
অন্যদিকে গ্রামেও কমেছে সার্বিক মূল্যস্ফীতি। নভেম্বর মাসে ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ থাকলেও ডিসেম্বরে তা কিছুটা কমে হয়েছে ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। এছাড়া খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ, যা নভেম্বর মাসে ছিল ৬ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে গিয়ে হয়েছে ৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ, যা নভেম্বরে ছিল ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ।